মৃত্যুঞ্জয় মিত্র

                                                     
মৃত্যুঞ্জয় মিত্র
 কবি একজন বিদগ্ধ অধ্যাপক। রুচিশীল, অনুভবি  এই মানুষটি  স্বভাব কবি ।














ছিঃ ছিঃ এত্তা জঞ্জাল 
-মৃত্যঞ্জয় মিত্র 

বাংলা মা তোর শরীর মনে
হস্ত পদে লক্ষ ক্ষত,
গ্রাম শহরে পথে ঘাটে 
ক্ষতের বিকাশ অব্যাহত।

শিশু কিংবা অষ্টাদশী
নয় নিরাপদ এই সমাজে,
বাঁশ বাগানে ধানের ক্ষেতে
ঘুরছে বিপদ খোশ মেজাজে।

সন্ন্যাসিনী বৃদ্ধা নারী
মন্দির মসজিদ গোরস্থানে,
দৈত্য দানার নিত্য পূজা
চলছে সেথায় দেহের দানে।

মরছে যারা নির্যাতনে
কিংবা বেঁচে রইলো যারা,
অসম্মানের লজ্জা ঘৃনায়
স্বতই বিদ্ধ হচ্ছে তারা।

কই প্রশাসন বিবেক বিচার
মনুষ্যত্বের মান ও হুঁশ,
শিক্ষা দীক্ষা মান মর্যাদায়
হানছে আঘাত অহর্নিশ।

পচন যখন বাংলা জুড়ে
সমাজ জুড়ে হচ্ছে প্রকট,
সহ্যের সীমা করেই পার
ছাড়ছে ওরা অতি মর্কট।

নতুন করে শিক্ষা শাসন
কঠোর হাতে দুষ্ট শাতন,
ব্যর্থ যদি আমলা মন্ত্রী
কিসের তবে রাজ্য শাসন?

খুন ধর্ষণ চুরি ছিনতাই
দুষ্ট ব্যাধির মূলোৎপাটন,
সফল ভাবে করতে পারলে
সার্থক তোমার রাজ্যশাসন।

বাংলা মায়ের এ লজ্জাভার
আমাদেরই  দূর করার তরে,
এসো সবাই দৃষ্টি সজাগ
রাখি দুষ্টের কু-নজরে।
  
----------------------------------------------------------




এসো ভূবনমনোমোহিনী
মৃত্যঞ্জয় মিত্র

বাদল শেষের ডঙ্কা বাজিছে ওই
শরৎ মেঘের কুণ্ঠিত আনগোনা,
সুনীল আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলায়
উঠিছে দুলিয়া শরতের সামিয়ানা।

সুদূর মাঠের হরিৎ ক্ষেতের পাড়ে
কাশের নিশান ঊর্ধ্বে তুলিয়া ধরে,
আগমনী মা'র আসার প্রতীক্ষায়
মৃদু পবনের সোহাগে দুলিছে ধীরে।

শেফালী গন্ধে মাতোয়ারা অঙ্গন
ঘাসের আগায় শিশিরের রেখা জাগে,
হিমেল হাওয়ায় শত তরঙ্গ তুলে
সফেন তটিনী ছোটে দুরন্ত বেগে।

বাংলা মায়ের রক্ত রাঙানো মাটি
বৃষ্টিধারায় যায়নি ধোয়া সে দাগ,
ভরা খুন  ধর্ষণে অন্যায় অবিচারে
তবুও মা জানি তুমিই সারাৎসার।

যদিও মোদের দুঃখ  সঙ্গী নিত্য
সুখের বৃত্ত হয়নি কখনো পূর্ণ,
তবুও আশায় বাঁধি মোরা শুধু বুক
ঘুচাতে তো চাই পৃথিবীর সব জীর্ন।

আলো ঝলমল দিন মোরা শুধু চাই
হাসি চাই সব অনাথ আতুর মুখে,
হর জগতের সকল দুঃখ রাশি
এসো তুমি মাগো ভূবনমোহিনী রূপে।